এবার তাইজুল ইসলাম আরও একবার দেখালেন তার কব্জির জোর। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে ইতিহাস গড়া রেকর্ড ছুঁড়ে দিয়েও কিংস্টনের স্যাবাইনা পার্কে একটা সময় পর্যন্ত অস্বস্তিতে ভুগতে হয়েছিল বাংলাদেশ দলকে। সেখান থেকে চাপমুক্তির কাজটা করে গিয়েছেন তাইজুল ইসলাম। আরও একটা ফাইফার এই স্পিনারের নামের পাশে। সেইসঙ্গে আরও একবার বাংলাদেশের টেস্ট জয়ের নায়ক হলেন তিনি।
এদিকে টেস্ট ক্যারিয়ারে ১৫ বারের মতো ৫ উইকেট পেয়েছেন তাইজুল ইসলাম। পরে ম্যাচ শেষে হাজির হলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ক্যামেরার সামনে। ভিডিও বার্তায় তাইজুলের কণ্ঠে শোনা গেল আত্মতৃপ্তির ছাপ, ‘আমার বোলিং নিয়ে আমি সন্তুষ্ট। দলের যে চাওয়া ছিল ওটা আলহামদুলিল্লাহ আমি পূরণ করতে পেরেছি। চতুর্থ ইনিংসে যখন বোলিং করতে এসেছি, আমার ওপরে দলের একটা বড় চাওয়া ছিল। আলহামদুলিল্লাহ তা করতে সফল হয়েছি। ভালো লাগছে।’
ম্যাচসেরা তাইজুল প্রশংসা করেছেন সব বোলারদের, ‘এই জয়টা এসেছে অপরিচিত কন্ডিশনে। সবাই চেষ্টা করেছে, ছেলেরা জয় পেতে নিজেদের উজাড় করে দিয়েছিল। বর্তমানে আমাদের যে পেস ও স্পিন আক্রমণ আছে , আমরা খুব ভালো খেলছি। সবাই ভালো ছন্দে আছে। আমরা যেকোনো ব্যাটিং আক্রমণের বিপক্ষে লড়তে পারি।’
দ্বিতীয় ইনিংসে বল হাতে কার্যকরী অবদানের পাশাপাশি ব্যাট হাতেও দলের ত্রাতা হয়ে ছিলেন তাইজুল। জাকের আলীর সঙ্গে ছিল তার ম্যাচ জেতানো এক জুটি। ক্রিজে লম্বা সময় থেকে ৯১ রান করা জাকেরকে সঙ্গে দিয়েছেন। পিচের অবস্থা পরিবর্তনে যা বেশ সহায়ক ছিল।
এর আগে অধিনায়ক মিরাজ বলেন, ‘(প্রথম ইনিংসে) ১৬৪ রানে অলআউট হওয়ার পরও আমরা নেতিবাচক চিন্তা করিনি। খেলোয়াড়েরা খুব ভালো বোলিং করেছে। প্রথম ইনিংসে নাহিদ রানা, তাসকিন ও হাসান মাহমুদ যেমন, দ্বিতীয় ইনিংসের বিশেষজ্ঞ তাইজুল পেয়েছে ৫ উইকেট। সে দুর্দান্ত...আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কীভাবে উন্নতি করব, আমরা সেটা ভাবি। কখনো কখনো আমরা ভুল করব, তবে সেখান থেকে শিখবও।’